শেনজেন ভিসা : এক ভিসায় ঘুরে আসুন ২৯ দেশ

 

ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে একেকটি ডেস্টিনেশনের আকর্ষণ একেক রকম। কোথাও চমৎকার আর্কিটেকচার, কোথাও বা চিকচিকে বালুময় সৈকত, সাথে পাহাড়ের সারি। একটি ভিসায় যদি নিয়ে নিতে পারেন এমন সব অসাধারণ ট্রাভেল এক্সপেরিয়েন্স, তাহলে তো আর কথাই নেই। আপনার সম্পূর্ণ ট্রাভেল লিস্টকে আরো সমৃদ্ধ করে দিতে পারে একটি “শেনজেন ভিসা”। শেনজেন ভিসা থাকলে আপনি ঘুরে আসতে পারবেন ইউরোপের ২৯ টি দেশে। শেনজেনভুক্ত যেকোনো একটি দেশের ভিসা সংগ্রহ করে বাকি ২৮টি দেশ অনায়াসে ভ্রমণ করা যায়। এজন্য আলাদা ভিসার প্রয়োজন হয় না।

 

শেনজেনভুক্ত দেশের নাম

 

ক্রমিক নম্বর দেশের নাম
1 অস্ট্রিয়া
2 বেলজিয়াম
3 চেক রিপাবলিক
4 ডেনমার্ক
5 এস্তোনিয়া
6 ফিনল্যান্ড
7 ফ্রান্স
8 জার্মানি
9 গ্রিস
10 হাঙ্গেরি
11 আইসল্যান্ড
12 ইতালি
13 লাটভিয়া
14 লিয়েসথেন্সটাইন
15 লিথুনিয়া
16 লুক্সেমবার্গ
17 মালটা
18 নরওয়ে
19 পোল্যান্ড
20 পর্তুগাল
21 স্লোভেকিয়া
22 স্লোভেনিয়া
23 স্পেন
24 সুইডেন
25 সুইজারল্যান্ড
26 রোমানিয়া
27 বুলগেরিয়া
28 ক্রোয়েশিয়া
29 নেদারল্যান্ড

 

শেনজেন চুক্তি

 

১৯৮৫ সালে লুক্সেমবার্গের শেনজেন শহরে ইউরোপীয় দেশগুলো নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। দেশগুলোকে একীভূত করে নানা উন্নয়ন কার্য সম্পাদন করার উদ্দেশ্যে এই চুক্তি হয়। এই চুক্তির ধারাবাহিকতায় সৃষ্টি হয় ‘শেনজেন ভিসা’।

 

শেনজেন অঞ্চল

 

শেনজেন অঞ্চল বা শেনজেন এলাকা হলো ২৭টি ইউরোপীয় দেশ নিয়ে গঠিত একটি এলাকা। যেখানে পারস্পরিক সীমান্তে সবধরনের পাসপোর্ট এবং অন্যান্য সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা 

আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ প্রাপ্ত দেশসমূহ স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এবং বিচার নীতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একই রকম হওয়ায়, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে ইউরোপভুক্ত দেশসমূহ একটি সাধারণ ভিসা নীতি মেনে চলে।

 

১৯৮৫ সালের শেনজেন চুক্তিতে এবং ১৯৯০ সালের শেনজেন কনভেনশনে অঞ্চলটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নামকরণ করা হয়। উভয় চুক্তি লুক্সেমবার্গের শেনজেনে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

 

শেনজেন অঞ্চলের জনসংখ্যা প্রায় ৪৫ কোটি। আয়তন ৪৫,৯৫,১৩১ বর্গকিলোমিটার । প্রায় ১৭ লাখ মানুষ প্রতিদিন একটি অভ্যন্তরীণ ইউরোপীয় সীমান্ত পেরিয়ে কাজ করার জন্য অন্য দেশে যাতায়াত করে এবং কিছু অঞ্চলে এরা কর্মশক্তির এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত গঠন করে।

 

প্রতি বছর শেনজেন এলাকায় মোট ১৩০ কোটি সীমান্ত পারাপার ঘটে থাকে। প্রতি বছর সড়কপথে ২ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি ইউরো মূল্যের ৫.৭ কোটি আমদানি- রপ্তানি সংগঠিত হয়।

 

ভৌগলিক অবস্থা, বাণিজ্য অংশীদার এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে শেনজেন অঞ্চলের মধ্য দিয়ে বাণিজ্যের ব্যয় ০.৪২% থেকে ১.৫৯% পর্যন্ত হ্রাস পায়। সেনজেন এলাকার বাইরের দেশগুলোও এ কারণে উপকৃত হয়।

 

শেনজেন অঞ্চলের রাজ্যগুলি শেনজেনভুক্ত নয় এমন দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ জোরদার করেছে।

 

শেনজেন ভিসা

 

ইউরোপ তথা শেনজেন দেশগুলোতে পর্যটন কিংবা যেকোনও কাজে প্রত্যেক ব্যক্তি ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী অবস্থান করতে পারেন। এজন্য পেতে হয় শেনজেন ভিসা। এক ভিসাতেই ২৯ টি দেশে বেড়ানো যায়। 

অর্থাৎ শেনজেনভুক্ত যেকোনো একটি দেশের ভিসা নিয়ে অন্যান্য দেশগুলোতেও ভ্রমণ করা যায়। তাই এটি ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় এবং সুবিধাজনক ।

 

শেনজেন ভিসার জন্য শর্ত

 

শেনজেন ভিসা পাওয়ার  যোগ্য হওয়ার জন্য, একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই দেখাতে হবে যে সে পর্যাপ্ত আর্থিক সম্পদ শেনজেন জোনে ভ্রমণ এবং থাকার জন্য রয়েছে কিনা। এছাড়া সে যেনো শেনজেন জোনের কোনো দেশের জনশৃঙ্খলা, জাতীয় নিরাপত্তা বা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ না হয়। 

শেনজেন ভিসা পুরো শেনজেন অঞ্চলের জন্য বৈধ, তাই  শেনজেন ভিসা সহ একজন ব্যক্তি শেনজেন এলাকার যেকোনো দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।

 

বাংলাদেশ থেকে শেনজেন ভিসা পাওয়ার উপায়

 

প্রাথমিক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র :

 

  1. ৬ মাসের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট (আগের সমস্ত ভ্রমণ ইতিহাস সহ)
  2. ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট এবং স্বচ্ছলতা বিবরণী। 
  3. ট্রেড লাইসেন্স (আগের সমস্ত ব্যবসার ইতিহাস)
  4. চাকরি ধারকের জন্য NOC পত্র। (গত 10 বছরের চাকরির ইতিহাস)
  5. ভিজিটিং কার্ড।
  6. শিক্ষার ইতিহাস।
  7. NID ফটোকপি।
  8. টিন সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য হয়)
  9. ছবি দুই কপি।
  10. স্পাউস এনআইডি/বিবাহের প্রশংসাপত্র।
  11. স্কুল আইডি/জন্ম সনদের ফটোকপি (শিশু)

 

অতিরিক্ত নথির প্রয়োজন হতে পারে দূতাবাসের উপর নির্ভর করে।

শেনজেন ভিসা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ও প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে। Fly Air BD শেনজেন ভিসা প্রসেস ও ভিসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাকে সহযোগীতা প্রদান করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *